প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা গোমস্তাপুরে অবৈধ জেলে ও প্রভাবশালীদের কবলে মহানন্দা

গোমস্তাপুরে অবৈধ জেলে ও প্রভাবশালীদের কবলে মহানন্দা

216
0

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: নদী মাতৃক দেশ বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খাল-বিল নদী-নালা শুকিয়ে যাচ্ছে। নদীতে এখন এক হাঁটু পানিতে হেঁটে যাওয়া যাচ্ছে। পানির গভীরতা নিচে নেমে যাচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের কালুপুর-দুর্গাপুর অঞ্চলে মহানন্দা নদী বিলীন হতে বসেছে। কিছু অবৈধ জেলেদের কবলে মহানন্দা নদীর তীর নদীর গহব্বরে চলে গেছে। তাদের তৎপরতা গোমস্তাপুর-চৌডালা ইউনিয়নেও রয়েছে।
কালুপুর নিবাসী আফজাল হোসেন জানান, আমাদের এলাকার মহানন্দা নদী স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলছে। দীর্ঘ দিন ধরে নদীতে মাছ ধরার ঘের (কুমাড়) ফেলে রাখলে নদীর পাড়ের জমি নদীর স্রোতের কারণে তীরে চলে যাচ্ছে। আমাদের জমিজমা নদীতে তলিয়ে গেছে। কুমাড়ে আটক মাছকে বিষাক্ত খাবার (ব্রয়লার বিষ্ঠা) দিচ্ছে। ফলে পানিতে পড়ে পানি দূষণ করছে। যার ফলে এলাকার মানুষ পানি ব্যবহার করতে পারছে না। আমরা এর প্রতিকার চাই। কথা হয় আরো একজন নদীর পাড়ে বসবাসরত বৃদ্ধের সাথে। তিনি বলেন, নদীর পাড়ে আমি বসবাস করি। স্থানীয়দের ক্ষমতাবলে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই ঘেরগুলো (কুমাড়) রেখে নদীর পাড়, নদীর স্রোতে নদীর গহব্বরে চলে গেছে। আমার বাড়িটার জমি কেটে কেটে স্রোতে নিয়ে চলে যায়। নদীর পানি ব্যবহার করতে পারি না। এমনকি নদীতে গোসলও পর্যন্ত করতে পারছি না।
অপরদিকে কুমাড় মালিক সুজাউদ্দিন বলেন, আমরা মৎস্য অধিদপ্তর এর কার্ডধারী জেলে। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ঘের (কুমাড়) ফেলে মাছ ব্যবসা করছি। আমার ঘেড়ের (কুমাড়) কারণে অন্য মানুষের কোন ক্ষতি হয় না বলে আমি মনে করি। আর ক্ষতি যদি হয়ে থাকে তবে অন্যরা যদি ঘের (কুমাড়) তুলে নেয় তবে আমিও তুলে নিবো এতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
সরেজমিনে মহানন্দা নদীটি পরিদর্শন করে দেখা গেছে, নদীর পানিতে শত শত ঘের (কুমাড়) রয়েছে। আর নদীর পাড়, নদীর স্রোতের কারণে মাটি কেটে চলে গেছে। যার ফলে স্থানীয়রা এ ঘেড় (কুমাড়) করায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এছাড়াও পূণর্ভবা নদীতেও অবৈধভাবে ঘের বসিয়ে নদীর স্রোতকে বাধা গ্রস্থ করছে এবং পরিবেশ দূষণ করছে বলে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করে। এছাড়া তাদের অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা এ কাজটি করে যাচ্ছে এতে করে কারো কথা তারা শুনছে না।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা (অতিঃ দায়িত্ব) ড.মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, আমি এখনও এসব বিষয়ে কিছু জানি না। এ প্রতিবেদকের কাছে বিস্তারিত শুনে তিনি এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।