সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাস্তার পাশে এ্যাক্সেভেটর (ভেকু) ম্যাশিন দিয়ে মাটি খনন করে তা অবৈধ ট্রাক্টরে করে ভাবনীগঞ্জ টু কেশরহাট রোডের উপর দিয়ে পরিবহন করছে। এতে ট্টাক্টার থেকে কাদা মাটি পড়ে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা। রাস্তায় কাদা মাটি পড়ে থাকায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসিরা।
এলাকাবাসিরা বলেন, পুকুরের মালিক তৌফিক উদ্দিন উপর মহলের ক্ষমতার ভয় দেখিয়ে এ পুকুর খনন করছেন। আর সাথে মাটি বিক্রির কাজে সহযোগিতায় রাখছেন মুগাইপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ উদ্দিন কে, তার দাপটে অনেকে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা বলে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে আমরা নিরুপায়, তবে সরকারি রাস্তায় কাদা মাটি পড়ে থাকায় আমাদের যাতাযাত ব্যবস্থা ব্যাপক ঝুঁকিতে আছে।
মুগাইপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজ উদ্দিন বলেন, তৌফিক উদ্দিন আমার সম্পর্কে ভাই হচ্ছেন, তাই তার কথাতে সহযোগিতা করছি।
এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরীর কাছে জানালে তিনি বলেন, কাউকে বলেন না, এখনি আমি ঘটনাস্থলে আসতেছি।
এরপর ভূমি অফিসের গোপন তথ্যও পুকুর খনন কারীরা জানতে পারে। এতে সর্তক হয়ে কাজ বন্ধ করে ট্রাক্টর গুলো বিদায় করে দিলেও রাতে আবারো ক্ষমতা দেখিয়ে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রয় কাজ চালিয়ে যান তৌফিক উদ্দিন। এমন কান্ড দেখেও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরীর অভিযানে না আসায় এলাকায় সমালোচনাও চলতে থাকে।
এমনি অভিযানের বিষয়ে জানতে চেয়ে বাগমারা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরীর কাছে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরে দ্রুত কেটে দেন, পরে আবারো একাধিকবার ফোন দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।