প্রচ্ছদ কৃষির খবর নওগাঁর আত্রাইয়ে গো-খাদ্যের সংকটে দিশেহারা খামারী ও কৃষকরা

নওগাঁর আত্রাইয়ে গো-খাদ্যের সংকটে দিশেহারা খামারী ও কৃষকরা

254
0

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ-চলতি বছরে পর পর দুই-দুইবার ভয়াবহ বন্যায় আত্রাই উপজেলার কোন মাঠে আমন ধান না হওয়ার কারনে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উচ্চমূল্য দিয়ে খড় কিনে গো-খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে।এতে করে হাজার হাজার গো-খামারি ও কৃষক দিশেহারা ও হিমশিস খাচ্ছে। আবার অনেকে গো-খাদ্য সংকটের কারণে ঘরু মহিষও ছাগল স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।জানা যায়, চলতি বছরে পর পর দুই-দুইবার ভয়াবহ বন্যায় আত্রাইয়ের কোন মাঠে আমন ধানের চাষ হয়নি।অন্যবার উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হতো।এর মধ্যে মনিয়ারী, ভোঁপাড়া,সাহাগোলা ইউনিয়নে সর্বাধিক পরিমান জমিতে আমন ধানের চায় করা হয়। আর এসক ধানের খড় এলাকার গো-খাদ্যের চাহিদা মিটিয়েদেশের অন্যান্য জেলায় এ খড়গুলো বিক্রি করা হতো। কিন্তু এবারের ভয়াবহ বন্যায় আমন ধানের চাষ না হওয়ায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।ফলে জেলার যেসব থানায় আমন ধানের চাষ হয়েছে ওই সব এলাকা থেকে উচ্চমূল্য দিয়ে খড় কিনতে হচ্ছে কৃষক ও গো-খামারীদের। প্রতিদিন সেই কাকডাকা ভোরেই ভ্যানযোগে গো-খাদ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে উপজেলার সদরের সাহেবগঞ্জ ব্রীজে।আর আসা মুহুতেই এ গো-খাদ্য খড়এগুলো বিক্রি হয়ে যায় খামারী ও কৃষকদের কাছে।ভ্যানযোগে আত্রাইয়ে খড় বিক্রি করতে আসা রাণীনগরের রাতোয়াল গ্রামের আনোয়ার হোসেনও টংশিয়ালা আব্দুল জলিল বলেন,আত্রাইয়ে গো-খাদ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য আমরা প্রতিদিন সকালে খড় বোঝাই ভ্রান নিয়ে এখানে আসি।রানীনগরে আমন ধানের চাষ হওয়ায় সেখানে পর্যাপ্ত পরিমান খড় পাওয়া যাচ্ছে।আমরা ওই সব এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে খড় কিনে এখানে নিয়ে আসি। প্রতিভ্রান খড় ২০০০ হাজার থেকে২২০০টাকায় বিক্রি হয়। উপজেলা সাহেবগঞ্জ গ্রামের বিশু দেওয়ান বলেন, আমন ধানের খড়ের উপর ভরসা করে আমরা ইরি-বোরো ধানের খড় ওই সময়বিক্রি করে দিয়েছি। কিন্তু আমাদের সকল ভরসা ম্লান হয়ে গেছেএবারে দুই-দুইবারের ভয়াবহ বন্যায়।না পেলাম ধান, না পেলাম খড়। জামগ্রামের কৃষক সিরাজ বলেন, যে খড় আগে কিনতাম বা ক্রয় করতাম ৫শ টাকা সেই খড় এবার কিনতে হচ্ছে ২৫শ টাকায়। সাহেব গঞ্জ গ্রামের খামারী আলহাজ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার খামারে ১২/১৩ টি গরু ছিল গো খাদ্যের অভাবে ৭টি গরু খুব কম দামে বিক্রয় করতে বাধ্য হয়েছি। বর্তমানে ৫টি গাভী ৩ টি বাছুর আছে আমার খামারে গো-খাদ্যের অভাবে এবং অধিক মূল্যে খড় কিনে গরু পালন সম্ভব নয় ।