প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা পত্নীতলায় মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহে

পত্নীতলায় মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহে

402
0

মাসুদ রানা , পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
দিগন্ত জুড়ে সবুজ আর সবুজ চারিদিক ফসলের মাঠ গুলি সবুজের সমারোহ, শস্য শ্যামল সুজলা সুফলা সবুজ বাংলার কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত উত্তরাঞ্চলের বরেন্দ্র অধ্যুষিত উপজেলা পত্নীতলা । পত্নীতলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ চলতি ইরি-বোরো মওসুমে চাষাবাদকৃত ধানের ক্ষেত এখন গাঢ় সবুজে পরিণত হয়েছে। দিগন্ত জুড়ে নজর কাড়ছে বোরো ফসলের ক্ষেত। ইরি-বোরো ধানের সবুজ পাতা বাতাসে দোল খাচ্ছে। কৃষকরা ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সার-কীটনাশক প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে। এক সময় এ এলাকায় জমি থেকেও ভাত হয়নি। সারা বছরে কেবল মাত্র আমণের চাষাবাদ হতো অনাহারে-অর্ধাহারে অতি কষ্টে দিন কাটতে এখানকার কৃষকদের। ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র অঞ্চলে এখন বছরে তিন ফসল হচ্ছে।” বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ” এর সেচ ব্যবস্থায় কৃষকের পরিবারে সুখ ফিরেছে। ধানের সাথে সাথে তারা আলু, আম,সরিষা, গম, ভূট্রা সহ বিভিন্ন সবজির চাষ করে সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন।
পত্নীতলা জোন বিএমডিএ সূত্রে জানা যায় উপজেলায় ৪৩৯টি গভীর নলকূপ, অগভীর (stw) ৯৭৫ এলএলপি বিদ্যুৎ চালিত ১৭ সৌর চালিত ২১ এবং প্রায় ৭ হাজার ডিজেল চালিত শালো রয়েছে। এছাড়াও আত্রাই নদী হতে পন্টুন বসিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় সেচ দেওয়া হচ্ছে বোরো ক্ষেতে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায়
চলতি মৌসুমে ১৯ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ১৯হাজার ৬৫০ হেক্টর।

এবার উপজেলায় রোপন হয়েছে উন্নত ফলনশীল ব্রিধান ২৮,২৯,৫৮,৬৩,৮১,৮৪, ৮৯ জিরাশাইল, গোল্ডেন আতপ, কাঠারি, হাইব্রিড জাতের ধান । কৃষি বিভাগ জানান বিভিন্ন প্রশিক্ষন, উঠান বৈঠক ও মাঠপর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ধান লাইনে(১৫-২০সেমি:দুরত্বে)রোপন করা, প্রতি বিঘা জমিতে ৫টি করে খুটি পুতিয়ে পাখি বসানোর ব্যবস্থা করা(পার্চিং পদ্ধতি)প্রতি লাইন পরপর একটি লাইন গ্যাপ দিয়ে চারা রোপন করা।সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করা।
উপজেলার নাদৌড় গ্রামের কৃষক শুকুমল জানান তিনি ১৮ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন, এবার পোকার আক্রমন কম আছে, ধানের গাছ ভাল হয়েছে ফলন ভাল হবে আশা করছেন।

বিএমডিএ পত্নীতলা জোনের সহকারী প্রকৌশলী ইন্তেখাফ আলম জানান বিএমডিএ সেচ ব্যবস্থায় কৃষকের ফসল ফলাতে সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছে, এখন বিদ্যুৎ পানির সংকট হয়না, সুষ্ঠ সেচ ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে কৃষকেরা তাঁদের কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে পারছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মর্কতা কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার জানান অন্যবছরের চেয়ে এবার আবহাওয়া অনেক ভাল আছে, পোকামাকড়ের আক্রমন খুবই কম, কৃষি বিভাগ সব সময় কৃষকের পাশে আছে।শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে কৃষকরা লাভবান হবেন।