গোদাগাড়ী উপজেলার উত্তরা বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম আওয়ামীলীগের দোশর বলে জানা গেছে। ক্ষমতাসীন আ’লীগের মদদপুষ্ট আশরাফুল ইসলাম ফারুক চৌধুরীর নিকট মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে উত্তরা বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তার সাথে কথা বললেই সে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর সাথে ঘনিষ্ঠ সখ্যতা রয়েছে সেই কথার জানান দিত। ফারুক চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে গোদাগাড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে তৈরি করেছেন সানরাইজ সেমি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এখানে নিয়মিতই ফারুক চৌধুরী ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের যাতায়াত করতে দেখা গেছে। আ’লীগের দলীয় অনেক সুযোগ সুবিধা নিতে দেখা গেছে আশরাফুলকে। আ’লীগের দালাল বলে চিহ্নিত এ নেতা ফারুক চৌধুরীর আশির্বাদে এমপিওভুক্ত একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হয়ে কিভাবে আরেকটি বিদ্যালয় গড়ে তুলেন এটি এখন জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমপিওভুক্ত একটি বিদ্যালয়ের সরকারি সকল সুযোগ সুবিধাদীগ গ্রহণ করেও সানরাইজের সে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক/সভাপতি এটি কিভাবে সম্ভব? এক সাথে দুটি প্রতিষ্ঠান কিভাবে তিনি সামাল দেন? এটি কোন বিধানে রয়েছে?
ইংলিশ মিডিয়াম নাম দিয়ে জাতিকে সে কি শিখাচ্ছে? সেখানে আদৌ কোন ইংলিশ শিখানো হয় না। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যা যা পড়ানো হয় ঠিক সেখানেও তাই পড়ানো হয়। তাহলে ইংলিশ মিডিয়াম নাম দিয়ে জাতীর সাথে প্রতারণা করে চলেছে আশরাফুল বলে এলাকাবাসীর ক্ষোভ। সানরাইজের কোন একজন শিক্ষকও ইংলিশে দক্ষতা নেই। কোন শিক্ষক ক্লাসে গিয়ে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না। এমনকি সে নিজেও পারে না। ফনিটিক্স জানেনা একজনও। ব্রিটিশ কিংবা আমেরিকান কোন ইংলিশ উচ্চরণ সেখানকার শেখানো হয়। শুধু তাই নয় ইংরেজি ২৬টি লেটার শুদ্ধ করে বলতে পারবে না কেউই। তাহলে কেন এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে?

এদিকে গত ১৮ ডিসেম্বর উপজেলা শহীদ মিনারের সামনে আ’লীগের এ নেতা তার নিজ নামীয় দা সানরাইজ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের হাই স্কুলের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে। তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ষ্টেজের প্রথম সারিতে দেখা যায় গণহত্যার মামলার আসামী জামিনে থাকা আ’লীগের আরেক সহচর ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলামকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অনেকেই তার অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করে চলে এসেছেন বলে জানা যায়।
অফিস চলাকালীন সময়ে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এলাকায় নিজেকে জাহির করতে সারাদিন ব্যাপী সাউন্ডবক্সে উচ্চ স্বরে গানবাজনা বাজিয়েছে আশরাফুল। সেই সাথে ছাত্রীদের নাচ-গানের ব্যবস্থাও করেছেন। সারা দেশে যেখানে ইসলামের জয়জয়কার চলছে সেখানে নাচ-গান করে সানরাইজে অশ্লীলতা শেখানো হচ্ছে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।

এদিকে টাল আশরাফুল গোদাগাড়ী উপজেলার অভ্যান্তরে কেন্দ্রীয় মসজিদের দক্ষিণে “ হাইস্কুলের শুভ উদ্বোধন” লিখে সেখানে উদ্বোধন করেন গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করা হয়। সেটি ইট-সিমেন্ট দ্বারা রাতের অন্ধকারে স্থায়ী নেমপ্লে তৈরি করেন। স্থানীয়রা জানায় সেখানে ইউএনওকে নিয়ে গেলে সেটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্বোধন করেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ‘‘শুভ উদ্বোধন” লেখার স্থানটি সরকারি জায়গাতে হওয়ায় ভেঙ্গে নিতে আদেশ দিয়েছি।
আশরাফুল ইসলাম মাটিকাটা এলাকার দাউদ মাষ্টারের ছেলে সে যা বুঝে তা দুনিয়ার আর কেউ বুঝে না। অহংকারী ও দাম্ভিক এ শিক্ষক তার নিজ নামীয় দা সানরাইজ স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রদের সাথে অন্যায় আচরণ করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মহিশালবাড়ী এলাকার তার এক শিক্ষকের সাথে হিসাব নিয়ে দীর্ঘদিন যাবদ দেন দরবারও করতে দেখা গেছে আশরাফুলকে।
আশরাফুলের অসাদাচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকজন অভিভাক সানরাইজের নিকটেই “মর্ণিং স্টার” নামক আরেকটি স্কুল খুলে বসে আছেন। মর্নিং স্টারের পরিচালকদের অন্যতম মিজানও বিগত ক্ষমতাসীন আ’লীগের দোশর বলে জানান এলাকাসী। ক্ষমার পালাবদলে পল্টিবাজ টিএন্ডটি অফিসের পাশে, রামনগর গ্রামের মিজানও সাথে সাথে উল্টে গিয়ে ৫ আগষ্ট ছাত্র/জনতার আনন্দ মিছিলে ঢুকে পড়ে। তার বড় ভাই মনিরুল ইসলাম আ’লীগের পদধারি নেতা সেও এখন পলাতক রয়েছে।
সৈরাচার আ’লীগের কোন দালাল এ দেশে কোন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারবে না বলে জানান গোদাগাড়ীর ছাত্র-জনতাসহ সর্বস্তরের জনগণ।