সূরা “ইয়াসিন” এবং সূরা “রহমান”
অবলম্বনে করুনাময় আল্লাহর গুনাগুণ।
– রফিকুল ইসলাম

“ফাবি আহায়্যি আলা-ই
রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান”।
সূরা আর রহমান থেকে
অপূর্ব ছন্দময়, এই পংক্তি লওয়া হয়েছে
যার অর্থ- অতএব তোমরা কোন কোন
নেয়ামত অস্বীকার করিবে।

ইয়া আল্লাহ!
(আল্লাহ) তুমি মহান, তুমি বিশাল
তুমি অসীম মেহেরবান।
তবু, হে মানুষ! কেন তুমি বলিতে চাওনা।
তব প্রভু মহিয়ান, গরীয়ান,
“ফাবি আইয়্যি আলা-ই
রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান”।

তুমি সৃষ্টি করেছ মানুষ, সকল জীব
চন্দ্র, সূর্য সুবিশাল মহাকাশ।
তব ইচ্ছায় সূর্য ঘোরে
নিজ কক্ষপথে।

গ্রহ নক্ষত্র চলে
নিজ নিজ পথে
বিচ্যুত হয় না কেহ
নিজ পথ হতে।

দুটি স্রোত ধারা মিলিত হলেও
বিলিয়ে দেয় না নিজরূপ
একে অপরের সাথে।


তবু, হে মানুষ! কেন তুমি বলিতে চাহ না,
তব প্রভু মহিয়ান।
“ফাবি আইয়্যি আরা-ই
রাব্বি কুয়া তুকাজ্জিবান।”

তুমি মানুষ কে সৃষ্টি করেছ
শুকনো মাটি হ’তে
দিয়েছ জীবন।
তুমি শষ্য দিয়েছ
দিয়েছ ফল।

দিয়েছ আঙ্গুর,খেজুর
সুন্দর ফুল।
তুমি মহান, তুমি বিশাল
তুমি অসীম মেহেরবান।

তবু, হে মানুষ! কেন তুমি
বলিতে চাহ না
তব প্রভু মহিয়ান, গরীয়ান।
“ফাবি আইয়্যি আলা-ই
রাব্বি কুমা তুকাজ্জিবান।

উত্তর হতে দক্ষিণ মেরু
পূর্ব হতে পশ্চিমের মালিক তুমি।
তুমি সমুদ্রে দিয়েছ
অসীম সম্পদ
মুক্তা, প্রবাল, মানিক।

তবু, মে মানুষ! কেন তুমি বলিতে চাওনা
তব প্রভু, মহিয়ান, গরীয়ান।
“ফাবি আইয়্যি আলা-ই
রাব্বি কুমা তুকাজ্জিবান”।