প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা আমার কলিজা জন্মের ৩ দিন পর মৃত্যু | আব্দুল খালেক

আমার কলিজা জন্মের ৩ দিন পর মৃত্যু | আব্দুল খালেক

75
0
আমার কলিজার টুকরা সোনামনি ১৯ তারিখ বিকেল ৩টার সময় বাসায় ভূমিষ্ট হয়। ডেলিভারীর কাজে নিয়োজিত মহিলার অদূরদর্শিতার কারণে জন্মের পর ছেলে আর কান্না করেনি। তাই তাকে জুয়েল ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসা হয়। তিনি কিছু ঔষধ দিয়ে গোদাগাড়ী ইসলামী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে গিয়ে তারা হালকা চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মডিলেকল কলেজে পাঠিয়ে দেন। সেখানেও প্রায় ৩ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাক্তারের পর্যবেক্ষনের পরেও ২১ জুলাই রাত ২টার দিকে আমার কলিজার টুকরা আল্লাহর সান্বিদ্ধে চলে যায়। انا لله وانا اليه راجعون. ২১ জুলাই ১০ ঘটিকার সময় ফাজিলপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
ছেলের নাম রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল- মুআওবিজ আদনান। معوز ادنان
নোট: ডেলিভারীর কাজে নিয়োজিত মহিলা সারাংপুর বড় মসজিদের বিপরীতে বাড়ী এবং প্রতিভা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বোয়াইরিয়া এ মহিলা প্রায় ৩/৪ ঘন্টা আমার স্ত্রীকে টর্চার করেছে রশি দিয়ে পেট বেঁধে রাখে, হাতে ইঞ্জেকশন দিয়ে হাত ফুলিয়ে দেয়। একাধিক ইঞ্জেকশন পুশ করে, অভিভাবকদের অনুমতি না নিয়ে কাটাছেড়া করে, বাড়ীর কারও কোন কথা শুনেনাই। রীতিমত মানষিকভাবে টর্চার করেছে এবং আমার সন্তানকে তার হাত থেকে দুই বার ছেলেকে পাকা স্থানে মাথার উপর ছেলে দেয়। এতে ছেলে প্রচুর আঘাত প্রাপ্ত হয়।  হাসপাতারে ভর্তি করার পর ডাক্তার বলেছে কে আপনার সন্তানকে ডেলিভারী করেছে সেতো বাচ্চাটিকে শেষ করে ফেলেছে।  বাচ্চা মাথার যন্ত্রনায় সারাক্ষণ ছটপট করেছে। কান্নাটি পর্যন্ত করতে পারেনি। মুখ থেকে শুধু উস্আস বের হচ্ছিল।  খিচুনি ও হেকচি তুলছিল।
> তাই এ মহিলা থেকে আপনারা সাবধান থাকবেন। তাকে দিয়ে কোন দিন ডেলিভারীর কাজ করাবেন না। সে আমার সন্তানের সর্বনাশ করেছে আপনার সন্তানকেও সর্বনাশ করবেনা তার কোন মানে নেই। কি হয়েছিল সেদিন সেটা জানতে চাইলে কমেন্টে নয় সরাসরি আসবেন।
সম্পাদক
আব্দুল খালেক