প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা তাহেরপুরে আইন শৃঙ্খলার অবনতি আতংকে এলাকাবাসী

তাহেরপুরে আইন শৃঙ্খলার অবনতি আতংকে এলাকাবাসী

101
0
আশরাফুল ইসলাম ফরাশী , বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভায়  বিএনপির দুই গ্রুপের মাঝে প্রায় তিন মাস থেকে চরম উত্তেজনা বিরাজ করলেও বাগমারা থানার পুলিশ কোন বড় ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় হঠাৎ করেই বাগমারার আইন শৃঙ্খলার অবনতী এবং  সেই সাথে তাহেরপুরে এলাকাবাসীর মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে।
রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য, তাহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র  আ. ন. ম. সামছুর রহমান মিন্টু গ্রুপের সাথে  জেলা যুবদল নেতা  রুস্তম আলী গ্রুপের প্রায় তিন মাস আগে রামরামা জলপই তলায় যুবদল নেতা  মনিরের বাড়িতে তুচ্ছ ঘটনার কারনে কথা কাটা কাটি   হয় এবং পরে  গায়ের  জোড়ে সাবেক মেয়র   মিন্টুর সাথে ইচ্ছে করে ১২ থেকে ১৫ জন ছেলে নিয়ে  সংঘর্ষ  বাঁধায় ৷   পরে সামনা সামনি প্রতিবাদ করায়  সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তার পর থেকে  ঐ তুচ্ছ ঘটনাকে ইস্যু করে গত শনিবার তাহেরপুর পৌর  বিএনপির কার্যালয়ে প্রায় ৩০০ নেতা কর্মী নিয়ে  দলের পরিচিতি সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলাকালে রুস্তম, রমজান এবং  আমজাদ  অনুষ্ঠানকে বানচাল করার চেষ্টা করলে পরে পৌর বিএনপির  নেতারা বাঁধা দেয়। এই বিষয় কে কেন্দ্র করে রবিবার  বিকাল থেকে আবারো দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া  শুরু হয়। একপর্যায়ে রুস্তম গ্রুপের ছেলেরা মিন্টু গ্রুপের তানাপাড়ার  এক ছেলেকে লাঠি এবং  লোহার রড নিয়ে  মারতে  আসলে  উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে এবং  রুস্তম গ্রুপের ছেলে সাহারুল ( ২৪), বাড়ি গোপাল পাড়া সংঘর্ষে আহত হয়  । রবিবার মাগরিবের পর থেকে তাহেরপুর পৌরসভার ২ ও ৪  নং ওয়ার্ডে  ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়। এই ঘটনার খবর রুস্তম গ্রুপের ছেলেরা জানতে পারলে তাঁরা   রবিবার দিবাগত রাতে তাহেরপুর  নতুন গরু হাটায়  অবস্হান নেয়।  রুস্তমের ভাই  রমজান তাদের  গ্রুপের ছেলেদের দিয়ে   ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও বিশিষ্ট গরু ব্যবসায়ী বাবুল  কশাইকে  এবং যুবনেতা আঃ বারিক সরদার গরু হাটা দিয়ে নিজ বাসায়  যাওয়ার পথে   রাত ৯ টায়  লাঠি ও লোহার রড  নিয়ে আক্রমণ করে আহত করে    এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।  তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ  এবং এলাকাবাসী তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। এই খবর মিন্টু গ্রুপের ছেলেরা জানতে পারলে গতকাল রাত ১০:৩০ মিনিট  পর্যন্ত সেখানে অবস্হান নেয়  ।  এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাহেরপুর পৌরসভার ২ ও ৪ নং ওয়াডের্র এলাকার মানুষের মাঝে চরম আতংকো বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে তাহেরপুরের সচেতন মহল সহ ভুক্তভুগিরা দ্রুত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পদক্ষেপ কামনা  করছেন।এ ব্যাপারে  সাবেক মেয়র আ. ন. ম. সামছুর রহমান মিন্টুর সাথে কথা বললে  তিনি বলেন, আমার কারো সাথে  কোন শত্রুতা নেই ,  যা করার রুস্তম ও তার দলবল করছে।
এ ব্যাপারে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ বলেন, আমরা মাঠে আছি, ভয়ের কোন কারন নাই আমরা কাজ করছি। এ ব্যাপারে র‌্যাব ৫ অধিনায়কের সাথে বার বার মোবাইলে যোগযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এক স্হানীয় সাংবাদিক  বলেন এই ব্যাপারে বাগমারা থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। এছাড়া  এ ব্যাপারে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির সাথে মোবাইলে যোগযোগ করা হলে তিনি বিস্তারিত না শুনেই মোবাইল কেটে দেন, এর পর প্রায় ২ঘন্টা পর এই স্থানীয়  সাংবাদিকের কাছে বিস্তারিত জানতে চান।