প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা অননুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে রূপরেখা হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী

অননুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে রূপরেখা হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী

125
0

১৫ জুন থেকে তিন সপ্তাহ কোচিং সেন্টার বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক:
যত্রতত্র গড়ে ওঠা অননুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, এজন্য তারা একটি রূপরেখা তৈরির চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে এসএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে 15ই জুন থেকে সারা দেশে তিন সপ্তাহের জন্য কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি। গতকাল রোববার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে তিনি এসব বলেন।
বাংলানিউজের খবর থেকে জানা যায়, শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্যসব প্রতিষ্ঠানের মতো হুট করে বন্ধ করে দেওয়া যায় না। পরিকল্পনা করে বন্ধের জন্য একটি রূপরেখা তৈরির চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, অননুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের আমরা সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে অনুমোদনহীন সিংহভাগই প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাখা হবে না। প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করব। আর নিম্ন মাধ্যমিক থেকে উচ্চ পর্যায়ের অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কিন্ডারগার্টেন নতুন শিক্ষা আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শিক্ষাক্রমে সহজে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যায় না। এ কারণে কেউ কেউ ইংরেজি শিক্ষাক্রম বা অন্য উপায়ে যত্রতত্র এসব প্রতিষ্ঠান খুলছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য আগামী ১৫ জুন থেকে পরবর্তী তিন সপ্তাহ পর্যন্ত দেশের সব ধরণের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। কোচিং সেন্টারগুলোকে নজরদারির আওতায় আনা হবে। যারা গোপনে খোলা রাখেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোচিং সেন্টার স্থায়ীভাবে বন্ধের উদ্যোগ আছে কিনা, জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিং ক্ষতিকর তা আমরা বলছি না। সব শিক্ষার্থীর মেধা এক থাকে না। অনেক শিক্ষার্থীর ক্লাসের বাইরে সহযোগিতা প্রয়োজন। শ্রেণিকক্ষে তাদের সব চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না, তাই তাদের জন্য কোচিং প্রয়োজন রয়েছে।
শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শ্রেণিকক্ষে কোনো কোনো শিক্ষক ক্লাসে মনোযোগ না দিয়ে কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কোচিং না করলে নম্বর কমিয়ে দেন তাও অনৈতিক। তবে কোচিংয়ের ধরন পাল্টানো হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো শিক্ষক যদি ক্লাস রুমের বাইরে ভালো শেখান তা কি বন্ধ করা সম্ভব? তবে কোনো শিক্ষক যাতে শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে বাধ্য না করেন সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

#দৈনিক আজাদী থেকে নেয়া