আব্দুল খালেক:  রাজশাহীর গোদাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল স্বারকলিপি প্রদান।
আজ ২০ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কগণসহ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকমন্ডলী অধ্যক্ষ মইনুল ইসলামের পদতাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। মিছিলটি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে শুরু করে ডাইংপাড়া সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবুল হায়াতের নিকট একটি দরখাস্ত দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাত্র/ শিক্ষকদের শাস্ত করে বলেন যেহেতু অধ্যক্ষ মো: মাইনুল ইসলাম অনেক দিন যাবত প্রতিষ্ঠানে আসছে না অনুপস্থিত থাকছে সেহেতু তার পরিবর্তে সিনিয়ারিটির ভিত্তিতে অন্য শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করা হবে। তবে এ নিউজ লেখা পর্যন্ত কে আসছেন এ মহান দায়িত্বে তার কোন নাম জানা যায়নি।

প্রকাশ থাকে যে, গোদাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাইনুল ইসলাম ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের পদ বাগিয়ে নেন। তিনি নিজেও গোদাগাড়ী উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক/ ছাত্রদের জিম্মি করে রেখেছিলেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটিকে তিনি দলীয় কার্যালয়ে রূপান্তর করেছিলেন বলে দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়। তিনি নিয়োগ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের অর্থ কেলেংকারীর ঘটনাও ঘটেছে। তিনি দলীয় কতিপয় শিক্ষকদের নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে অন্যান্য শিক্ষকদের অর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে।
অভ্যান্তরীণ হিসাব-নিকাশ এর ক্ষেত্রে নিজ ইচ্ছানুযায়ী নিরীক্ষা কমিটি করে ব্যয় ভাউচারের তথ্য গোপন করে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।
প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় করণ কল্পে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিকট হতে বিভিন্ন উপায়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ৭৫ লক্ষ টাকা জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানে না এসেও পরের দিন খাতায় দেখা যায় তার স্বাক্ষর আছে সেটা কিভাবে সম্ভব? এ ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম বাদেও তার অনুসারী শিক্ষকদের অপসারণের দাবি জানান প্রতিষ্ঠানের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।