প্রচ্ছদ অন্যান্য পৃষ্ঠা সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগে মামলা

সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগে মামলা

227
0
সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহারে ১ নং সাপাহার ইউনিয়ন পরিষদ নামীয় আরএস রেকর্ডভুক্ত সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ী চালক মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এঘটনায় গাড়ী চালক মোঃ রফিকুল ইসলাম ও তাঁর সহদর মোঃ মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মোকাম সহকারী সাপাহার জজ আদালত, নওগাঁয় জন সাধারনের পক্ষে মোঃ জুয়েল হোসেন ও মোঃ ফরহাদ হোসেন নামে দুই জন বাদী হয়ে একটি মমলা দায়ের করেছে। এতে মোকাবেলা বিবাদী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ, সাপাহার, নওগাঁ ও থানা নির্বাহী কর্মকর্তা, সাপাহার, নওগাঁকে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ ও মামলার আরজি সূত্রে যানাযায়, সাপাহার উপজেলা সদরের ১ নং সাপাহার ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় জন সাধারনের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা ও রাস্তার ধার দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য জলদাঁড়া সাধারনের ব্যবহার্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছিলো। গত ২৪ মার্চ রফিকুল ও তাঁর সহদর মফিজুল উক্ত সম্পত্তি অবৈধ্য ভাবে দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে, অদ্যবদি চালিয়ে যাচ্ছে বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়। এতে দাবী করা হয়, সাপাহার মৌজাস্থ ৬ নম্বর আরএস খতিয়ানের ১২৬ নম্বর দাগে দাঁড়া হিসেবে ১০ শতক সম্পত্তি ১ নং সাপাহার ইউনিয়ন পরিষদের নামে রেকর্ড রয়েছে। মামলার বাদী জুয়েল হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে জন সাধারনের ব্যবহার্য সম্পত্তি অবৈধ্য দখলমুক্ত ও স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য একাধিক বার বলার পর কোন সমাধান না পেয়ে ৩১ মার্চ মোকাম সহকারী সাপাহার জজ আদালত, নওগাঁয় মামলাটি করা হয়। তবে গাড়ী চালক রফিকুল বলেন, ওই সম্পত্তি আমরা পাকিস্তান আমল থেকে ভোগদখল করে আসছি। ওই দাগের ১০ শতক সম্পত্তির উপর আমার নামে আদালতের রায়ও আছে। এবং ওই সম্পত্তির খাজনা খারিজসহ সকল প্রকাশ বৈধ্য কাগজাদি আমার নামেই আছে। কিন্তু ১০ শতকের মধ্যে মাত্র পৌনে ২ শতক সম্পত্তি আমার দখলে আছে। বাঁকি সম্পত্তি অন্যজনের দখলে রয়েছে।
১ নং সাপাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকবর আলী বলেন, এবিষয়ে জানতে পেরে অবৈধ্য দখলমুক্ত ও স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ২৯ মার্চের ৩৮ নম্বর স্মারকে নওগাঁ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহদোয়ের অনুমিত পেলে অবৈধ্য দখলমুক্ত ও স্থাপনা উচ্ছেদ মামলা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, এবিষয়ে আমি দেখভাল করবো।