সাইদ সাজু, তানোর থেকেঃ
রাজশাহীর তানোরে কোল্ড স্টোরে আলুর ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে তানোর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানোর পৌর সভার সাবেক মেয়র ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান। তানোর উপজেলা আলু চাষী কল্যান সমিতির সভাপতি আলহাজ নুরুল ইসরামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির কোষাধ্যক্ষ রাশিদুল ইসলাম কারি, তানোর পৌর সভার সাবেক কাউন্সিল ও বিশিষ্ট আলিচাষী আবু সাইদ বাবু, তানোর পৌর সভার সাবেক কাউন্সিল আব্দুল মান্নান। তানোর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জুল হোসেন তোফা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আলু চাষি লিমন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আলু আহসান হাবিবসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত আলুচাষী ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্যরা বলেন, ষ্টোর কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট করে আলু চাষীদের জিম্মি করছে। তারা বলেন, গত বছর ষ্টোর গুলোতে প্রতি বস্তা আলুর ভাড়া ছিলো ২শ’ ৫৫টাকা। এবছর অগ্রীম বুকিং স্লিপ কাটার সময় প্রতি বস্তার রেট ধরা হয়েছে ২শ’ ৮৫ টাকা। তারপরও কৃষকরা কোন প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু এখন স্টোর কর্তৃপক্ষ বলছেন ষ্টোর ভাড়া দিতে হবে প্রতি কেজি ৮ টাকা। যা চাষী ও ব্যবসায়ীদের প্রতি জুলুম ও অন্যায়ের সামিল। প্রতিবাদ সভায় আলু চাষী কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলেন স্রিপ কাটার সময় যে রেট ধরা হয়েছে তার বেশী হলে আন্দোলন করা হবে। ষ্টোর কর্তৃপক্ষ ও কৃষক সুত্রে জানা গেছে, গত বছর গুলোতে ৭০ কেজির প্রতি বস্তা আলুর ভাড়া ছিলো ২শ’ ৫৫ টাকা। সে হিসেবে প্রতি কেজি আলুর ভাড়া পড়ে ৩ টাকা ৬৫ পয়সা। এবছর বুকিং এর সময় স্রিপ কাটার সময় রেট ধরা হয়েছে ২শ’ ৮৫ টাকা। সে হিসেবে প্রতি কেজি আলুর ভাড়া পড়বে ৪ টাকা। কিন্তু সম্প্রতি হঠাৎ করেই ষ্টোর কর্তৃপক্ষ বুকিং স্লিপ কাটা ব্যবসায়ী ও চাষীদের জানিয়েছেন এবছর আলুর ভাড়া দিতে হবে প্রতি কেজি ৮ টাকা। যা গত বছরের গচেয়ে দ্বিগুণ। ষ্টোর কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষনার পর পরই আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংকের পাশাপাশি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় নিয়ে আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তানোর আমান কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার জালাল উদ্দীন বলেন, গত বছর প্রতি ৫০ কেজির বস্তার ভাড়া ছিলো ৩শ’ টাকা এবং লেবার খবচ ১৫ টাকা। কিন্তু আলু চাষী ও ব্যবসারা ৫০ কেজি আলুর পরিবর্তে ৭০ কেজি থেকে ৮০ কেজি করে আলু রাখছে। যা সরকারী নিয়ম বহির্ভূত। এবছর সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ কোল্ড স্টোর এ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আলুর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে (৫০কেজির বস্তা) প্রতি কেজি ৮ টাকা। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই বলে জানান তিনি।