বি.এম রুবেল আহমেদঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে দীর্ঘদিন নেই ইউএনও এসিল্যান্ড; কাঙ্খিত সেবা বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাবাসী। গত ৪ ফেব্রুয়ারি গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যা ভোলাহাটের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিলেও আজও তা দায়ভার মুক্ত হননি তিনি। যার কারনে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না ভোলাহাট উপজেলাবাসী। এনিয়ে সুশীল সমাজের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদটা তো সোনার হরিণের মত হয়ে গেছে উপজেলাবাসীর কাছে।
কারণ ভোলাহাটে এই পদে অধিকাংশ সময়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে। এজন্য ভুক্তভোগী হয়ে থাকতে হয় ভূমি সংক্রান্ত গ্রাহকদের। তাছাড়া এই এসিল্যান্ড পদটা শূণ্য হয়ে আছে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে।
এরমধ্যে একজন নারী ইউএনও হিসেবে ভোলাহাটে যোগদান করার আগেই তাকে সচিবালয়ে তাকে বদলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুুুস সামাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আপনাদের ভোলাহাটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আগামী সপ্তাহে যোগদান করবে বলে আশা করছি। তবে তিনি ভোলাহাটের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং জনসাধারণের প্রতি সহনশীল আচরণ করতে অনুরোধ করেন। ইউএনও এসিল্যান্ড ছাড়াও বেশ কিছু দপ্তরের প্রধানের পদগুলোও ফাঁকা রয়ে আছে।
দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত। গত বছরের অক্টোবর থেকে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ুউপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার পদটি। সাব-রেজিস্ট্রারের পদটিও রয়েছ ফাঁকা। জমি রেজিস্ট্রি হচ্ছে সপ্তাহে একদিন। বেড়েছে গ্রাহক ভোগান্তি। বছরের পর বছর গড়িয়ে গেলেও পূর্ণ হয়না উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার চেয়ারটির। দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা রয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারের পদটিও।
অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুল মতিন। আর সরকারি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তর প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর। সেখানকারও দপ্তর প্রধানের পদটিও রয়েছে ফাঁকা। হদিস নেই উপজেলা পরিসংখ্যান অফসারের। বছরের পর বছর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন পার্শ্ববর্তী উপজেলার কর্মকর্তা। বছর তিনেক থেকে ফাঁকা রয়েছে উপজেলা সমবায় অফিসারের পদটিও।
জোড়াতালি দিয়ে চলছে উপজেলার দপ্তরগুলো। নাখোশ উপজেলার সাধারণ মানুষ। এনিয়ে ভোলাহাটের সাধারণ জনগণের দাবি অনতিবিলম্বে দপ্তরগুলোর অফিসারদের ফাঁকা পদগুলোও পূরণ পূর্বক উপজেলার মানোন্নয়ন সাধিত হয়। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছ রুগীদের ভোগান্তি। নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার।
হিমসিম খেতে হচ্ছে উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা অফিসারকে। নিজেই চিকিৎসা দিচ্ছেন আউটডোরে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ডাক্তার নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবি জানান সুধীজনরা।